বাছাইয়ের নিয়মকানুন আরও ভালো করার সহজ উপায়গুলো কি জানেন? না জানলে অনেক কিছু মিস করছেন!

webmaster

**

A professional businesswoman in a modest business suit, sitting at a desk in a modern office, fully clothed, appropriate attire, safe for work, perfect anatomy, natural proportions, professional photography, high quality.

**

বর্তমান যুগে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুবই জরুরি। চারপাশে এত অপশন, এত তথ্য যে কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরব, সেটাই একটা কঠিন ব্যাপার। বিশেষ করে যখন আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাছাই করতে যাই, তখন মনে হয় যেন একটা গোলকধাঁধায় পড়ে গেছি। আমি নিজে অনেকবার এই সমস্যায় পড়েছি, যখন বুঝতে পারছিলাম না কোন পথে গেলে আমার জন্য ভাল হবে।এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা উপায় হল নিজের পছন্দের কারণগুলো স্পষ্টভাবে বোঝা। কেন একটা জিনিস অন্যটার থেকে ভাল লাগছে, সেটা যদি আমরা পরিষ্কার করে বুঝতে পারি, তাহলে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে একই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে, কী ভাবে এগোনো উচিত, সে বিষয়েও একটা ধারণা তৈরি হয়ে যায়। এখন AI এর যুগে এই বিষয়গুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।আসুন, এই বিষয়ে আরও গভীরে গিয়ে দেখা যাক, কী ভাবে আমরা আমাদের পছন্দের কারণগুলোকে আরও স্পষ্ট করে তুলতে পারি।নিচের প্রবন্ধে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

নিজের ভেতরের ইচ্ছাকে আবিষ্কার করুন

য়মক - 이미지 1

১. নিজের মূল্যবোধগুলো চিহ্নিত করুন

আমরা যখন কোনো কিছু পছন্দ করি, তার পেছনে আমাদের কিছু মূল্যবোধ কাজ করে। এই মূল্যবোধগুলো আমাদের জীবনের একটা দিকনির্দেশনা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কারও কাছে হয়তো সততা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আবার কারও কাছে সৃজনশীলতা। যখন আপনি আপনার মূল্যবোধগুলো জানতে পারবেন, তখন বুঝতে পারবেন কোন জিনিসগুলো আপনার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি যখন প্রথম চাকরিটা বেছে নিয়েছিলাম, তখন আমার কাছে salary-র থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল কাজের সুযোগটা। কারণ আমি নতুন কিছু শিখতে চেয়েছিলাম।

২. নিজের আবেগগুলোকে বুঝুন

পছন্দ-অপছন্দ ব্যাপারটা অনেকটাই আবেগনির্ভর। কোনো একটা জিনিস হয়তো দেখতে খুব সুন্দর, কিন্তু সেটা আপনার মনে কোনো অনুভূতি জাগায় না। আবার অন্য দিকে, খুব সাধারণ একটা জিনিসও আপনার মনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। নিজের আবেগগুলোকে বুঝতে পারলে, আপনি জানতে পারবেন কোন জিনিসগুলো আপনাকে আনন্দ দেয়, আর কোনগুলো আপনাকে হতাশ করে। আমার মনে আছে, একবার একটা art exhibition-এ গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক বিখ্যাত শিল্পীর কাজ ছিল, কিন্তু আমার সব থেকে ভাল লেগেছিল একজন নতুন শিল্পীর কাজ। কারণ সেই কাজটার মধ্যে একটা অন্যরকম আবেগ ছিল, যেটা আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছিল।

পছন্দের জিনিসগুলোর তালিকা তৈরি করুন

১. আপনার ভালো লাগার মুহূর্তগুলো মনে করুন

একটু সময় বের করে ভাবুন তো, আপনার জীবনে কোন মুহূর্তগুলো সব থেকে বেশি আনন্দের ছিল? সেই মুহূর্তগুলোতে আপনি কী করছিলেন, কাদের সাথে ছিলেন, আর কী কী জিনিস আপনাকে ঘিরে ছিল?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করলে, আপনি জানতে পারবেন কোন ধরনের জিনিস বা কাজ আপনাকে আনন্দ দেয়। আমার জীবনের সব থেকে আনন্দের মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটা ছিল যখন আমি বন্ধুদের সাথে পাহাড় ট্রেকিং করতে গিয়েছিলাম। সেই অভিজ্ঞতাটা আমাকে শিখিয়েছে যে আমি প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসি।

২. বিভিন্ন ধরনের জিনিসের সাথে নিজেকে expose করুন

নতুন নতুন জিনিস try করতে ভয় পাবেন না। হয়তো আপনি ভাবছেন কোনো একটা particular খাবার আপনার ভালো লাগবে না, কিন্তু সেটা চেষ্টা না করা পর্যন্ত আপনি জানতে পারবেন না। বিভিন্ন culture-এর সিনেমা দেখুন, নতুন গান শুনুন, নতুন খেলা খেলুন। যত বেশি জিনিসের সাথে আপনি পরিচিত হবেন, তত বেশি আপনার পছন্দের তালিকাটা expand হবে। আমি একবার Japanese খাবার try করেছিলাম, যেটা আগে কখনো খাইনি। প্রথমে একটু hesitant ছিলাম, কিন্তু পরে সেটা আমার favourite খাবারগুলোর মধ্যে একটা হয়ে যায়।

অন্যের প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচান

১. নিজের চিন্তাভাবনাকে সম্মান করুন

অনেক সময় আমরা অন্যের মতামত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজের পছন্দকে বদলে ফেলি। হয়তো আপনার একটা জিনিস ভালো লাগে, কিন্তু আপনার বন্ধু বা পরিবারের কেউ সেটা পছন্দ করে না। তাই আপনিও ধীরে ধীরে সেই জিনিসটা অপছন্দ করতে শুরু করেন। অন্যের মতামত শুনুন, কিন্তু নিজের চিন্তাভাবনাকে সম্মান করুন। মনে রাখবেন, আপনার পছন্দ আপনার নিজের, এবং সেটা অন্যের থেকে আলাদা হতেই পারে। আমি যখন প্রথম blog লেখা শুরু করেছিলাম, তখন অনেকেই বলেছিল এটা সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই না। কিন্তু আমি নিজের passion-কে follow করেছিলাম, এবং আজ আমি একজন successful blogger.

২. সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব থেকে দূরে থাকুন

Social media-র একটা বড় effect আছে আমাদের পছন্দের ওপর। Instagram বা Facebook-এ আমরা যা দেখি, সেটাই follow করতে শুরু করি। Celebrity-রা যা ব্যবহার করেন, আমরাও সেটাই কিনতে চাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, social media-তে দেখানো সবকিছু real নয়। তাই অন্যের জীবন দেখে প্রভাবিত না হয়ে, নিজের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। আমি মাঝে মাঝে social media detox করি, যাতে আমি নিজের thoughts-এর ওপর focus করতে পারি, অন্যের influence থেকে free থাকতে পারি।

বিষয় নিজের ভেতরের ইচ্ছাকে আবিষ্কার করুন পছন্দের জিনিসগুলোর তালিকা তৈরি করুন অন্যের প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচান
মূল উদ্দেশ্য নিজের মূল্যবোধ ও আবেগ বোঝা নতুন জিনিসের সাথে পরিচিত হওয়া নিজের চিন্তাভাবনাকে সম্মান করা
উপায় নিজের ভালো লাগার মুহূর্তগুলো মনে করা বিভিন্ন ধরনের জিনিসের সাথে নিজেকে expose করা সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব থেকে দূরে থাকুন
ফলাফল নিজের পছন্দের কারণগুলো স্পষ্টভাবে বোঝা পছন্দের তালিকা expand হওয়া নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া

ভুল থেকে শিক্ষা নিন

১. নিজের ভুলের জন্য নিজেকে ক্ষমা করুন

মানুষ মাত্রই ভুল করে। তাই কোনো ভুল হয়ে গেলে, নিজেকে দোষারোপ করে লাভ নেই। বরং সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিন এবং ভবিষ্যতে যাতে একই ভুল না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আমি যখন প্রথম code লিখতে শুরু করেছিলাম, তখন অনেক ভুল করতাম। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি, এবং ধীরে ধীরে একজন ভালো programmer হয়ে উঠি।

২. প্রয়োজন হলে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন

সব সময় নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার আগের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল, তাহলে সেটা পরিবর্তন করতে দ্বিধা করবেন না। নিজের ভুল স্বীকার করতে পারাটাও একটা বড় গুণ। আমি একবার একটা business শুরু করেছিলাম, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারি যে এটা আমার জন্য সঠিক নয়। তাই আমি সেই businessটা বন্ধ করে দিই, এবং অন্য কিছু করার চেষ্টা করি।

নিজের intuition-এর ওপর ভরসা রাখুন

১. নিজের মনের কথা শুনুন

অনেক সময় যুক্তি দিয়ে সব কিছু বিচার করা যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজের মনের কথা শোনাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। আপনার intuition আপনাকে সঠিক পথ দেখাতে পারে। আমি যখন প্রথম blog লেখার ideaটা পাই, তখন অনেকেই বলেছিল এটা successful হবে না। কিন্তু আমার intuition বলছিল যে এটা আমার জন্য সঠিক পথ। তাই আমি ঝুঁকি নিয়েছিলাম, এবং আজ আমি সফল।

২. তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না

গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, যথেষ্ট সময় নিন। তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সব দিক বিবেচনা করে, ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন। আমি যখন নতুন কোনো gadget কিনতে যাই, তখন অনেক research করি, reviews পড়ি, এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিই।মনে রাখবেন, আপনার পছন্দ আপনার নিজের। তাই অন্যের কথায় প্রভাবিত না হয়ে, নিজের heart-এর কথা শুনুন এবং নিজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।

শেষ কথা

নিজের ভেতরের ইচ্ছাকে চেনা এবং নিজের পছন্দকে সম্মান করা একটা continuous process। আশা করি, এই article-টা পড়ে আপনারা নিজের ভেতরের ইচ্ছাকে আবিষ্কার করতে এবং নিজের পছন্দ অনুযায়ী জীবনযাপন করতে inspire হবেন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, এবং নিজের heart-এর কথা শুনুন। তাহলেই জীবনে সুখী হতে পারবেন।

দরকারী কিছু তথ্য

১. পছন্দের গান শুনলে মন ভালো হয়ে যায়।

২. বন্ধুদের সাথে গল্প করলে stress কমে যায়।

৩. নতুন কিছু শিখলে brain active থাকে।

৪. ব্যায়াম করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।

৫. সময় করে ঘুরতে গেলে মন fresh হয়ে যায়।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

নিজের মূল্যবোধগুলোকে চিহ্নিত করুন, নিজের আবেগগুলোকে বুঝুন, এবং অন্যের প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নিজের intuition-এর ওপর ভরসা রাখুন। তাহলেই আপনি নিজের ভেতরের ইচ্ছাকে আবিষ্কার করতে পারবেন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: পছন্দের কারণগুলো কীভাবে স্পষ্ট করা যায়?

উ: পছন্দের কারণগুলো স্পষ্ট করতে হলে প্রথমে নিজের ভালো লাগা এবং খারাপ লাগাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। কোনো জিনিস কেন ভালো লাগছে বা কেন খারাপ লাগছে, তার পেছনের যুক্তিগুলো খুঁজে বের করতে হবে। নিজের অনুভূতিগুলোকে বিশ্লেষণ করে দেখা দরকার।

প্র: সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার গুরুত্ব কী?

উ: অভিজ্ঞতা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগেকার দিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখতে পারি কোন পথে গেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। একই ধরনের পরিস্থিতিতে আগে কী করেছিলাম এবং তার ফলাফল কী হয়েছিল, সেটা মনে রেখে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

প্র: AI এর যুগে পছন্দের কারণগুলো জানা কেন জরুরি?

উ: AI এর যুগে চারপাশে অনেক অপশন এবং তথ্য ছড়িয়ে আছে। AI আমাদের অনেক সাহায্য করতে পারলেও, শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা আমাদেরকেই নিতে হয়। তাই নিজের পছন্দের কারণগুলো জানা থাকলে AI এর সাহায্য নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। কারণ আমরা বুঝতে পারি কোন তথ্যগুলো আমাদের জন্য দরকারি এবং কোনগুলো অপ্রয়োজনীয়।